হিমাদ্রি ও মধ্য হিমালয় উৎপত্তি হওয়ার পরে, সেই হিমালয় ব্যাপী নানা নদী উৎপত্তি লাভ করে ও এই নদী পর্বতের বিভিন্ন নুড়ি,শিলা,পলি বহন করে পর্বত পাদদেশে জমা করতে থাকে।এর পর pleistocene যুগে বারবার মহাদেশীয় পাতের সঞ্চালনের ফলে এই পর্বত পাদদেশের জমে থাকা নরম মাটি উথিত হয়ে শিবালিক তৈরি করে।
অন্যদিকে শিবালিক ও হিমাদ্রি দুদিক থেকে চাপ দেওয়ার ফলে মধ্য হিমালয়ের পর্বতশ্রেণি বেশ কয়েক স্থানে ভেঙে পড়ে।
শিবালিক পর্বতশ্রেণি মূলত পশ্চিম হিমালয় -এ দেখা যায়, নেপালে মধ্য ও শিবালিক হিমালয়ের তুলনামূলক কম এবং অবশেষে ঘর্ঘরা নদীর পূর্বদিকে শিবালিক পর্বতশ্রেণি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ।
হিমালয়ের দক্ষিণপ্রান্তে কম উচ্চতা সম্পন্ন ছোটো ছোটো পাহাড় শ্রেণিকে শিবালিক বলা হয়। শিবালিকের উচ্চতা 300-1500 মি. , চওড়া 10-15 কিমি. ।
'দুন'- দুই পর্বতের মাঝে নিম্নভূমি - শিবালিকে দেখা যায়।
হিমালয় গঠনের শেষ পর্যায়ে শিবালিক সৃষ্টি হয়েছে।
জম্নু পাহাড়, অরুণাচল প্রদেশে ডাফলা ,মিরি এবং উত্তরাখন্ডে ধ্যাং এই অঞ্চলে অবস্থিত।
২)হিমাচল/অবহিমালয় (Lesser Himalaya):
হিমাদ্রি তৈরি হওয়ার পরবর্তীকালে মধ্য হিমালয় তৈরি হয়। দ্বিতীয় বার C-C Plate collision- এর ফলে মধ্য হিমালয় Discontinuous Range গঠিত হয়। এই Range গুলি হল - পিরপঞ্জাল, ধৌলধর, নাগট্টিব্বা, মুসৌরী,কুমায়ুন ও মহাভারত।
এই অঞ্চলের পিরপঞ্জাল,ধৌলাধর,নাগটিব্বা উল্লেখযোগ্য পর্বত শ্রেণি ।
শিবালিকের উত্তরে 60-80 কিমি. চওড়া বিস্তীর্ণ উঁচু পর্বতশ্রেণিকে হিমাচল বলে।
গড় উচ্চতা -1500-5000 মি.।
৩)হিমাদ্রি বা উচ্চ হিমালয় (Himadri/Greater Himalaya):
দুই ভূভাগের সংঘর্ষের ফলে ভূভাগের বেশ কিছু অংশ চূর্ণ হয়। এই গুঁড়ো হয়ে যাওয়া ভূভাগ দুই পাতের চাপে পড়ে উথিত হয়ে হিমাদ্রি তৈরি । মূল ভূভাগের পাথর গুঁড়ো হয়ে হিমাদ্রি তৈরি হয়েছিল, তাই হিমাদ্রি Old Rock দ্বারা গঠিত। যেমন- গ্ৰানাইট, নিস,সিষ্ট।
হিমালয়ের উত্তর হিমালয়ের সর্বোচ্চে পর্বতশ্রেণি হিমাদ্রি অবস্থিত।
সারাবছর তুষারে ঢাকা থাকে বলে এই আংশকে হিমাদ্রি বলা হয়।
গড় উচ্চতা 6000মিটার।
পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশ্রেণি এভারেস্ট-8848 মিটার।(নেপালে অবস্থিত)
ভারতে অবস্থিত হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা-8598 মিটার। ধবলগিরি-8172 মিটার, অন্নপূর্ণা- 8078 মিটার, নন্দাদেবী- 7817মিটার।
إرسال تعليق