প্রাচীনকাল থেকে পন্ডিতেরা ভূগোলকে কোরোলজি বা ক্ষেত্রবহুত্ববিজ্ঞান আখ্যা দিয়ে আসছেন। তাঁদের মতে ভূপৃষ্ঠের বৈচিত্র্যকে সমীক্ষা করা ও বর্ণনা করাই ভূগোলের কাজ। গ্ৰীক পন্ডিত ভ্যারেনিয়াসের ঐতিহ্য অনুসরন করে মার্কিন দেশের ভৌগোলিক রিচার্ড হার্টশোর্ন 1939 সালে প্রকাশিত তাঁর The Nature Of Geography গ্ৰন্থে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ভূগোলকে 'কোরোলজি' হিসাবে সমীক্ষা করাই সবচেয়ে ভালো।
দৈশিক বিজ্ঞানের সূচনা: 1940 দশক ও 1950 দশকের গোড়ার দিকেই 'দেশ' এর ধারণা ভূগোলে আলাদা করে সনাক্ত করার মতো গবেষণার ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেতে থাকে। স্কীফারের মতে ভূগোলের মূল বিষয়বস্তু হল দেশ যা আর কোনও বিজ্ঞান সমীক্ষা করে না।পৃথিবীকে খন্ড খন্ড করে ভাগ করে এক একটি অঞ্চলকে গভীরভাবে জানতে চাওয়া ব্যতিক্রমবাদের সমার্থক। বরং ভৌগোলিকদের উচিত অঞ্চল-সমীক্ষা পরিত্যাগ করে দৈশিক বিজ্ঞানী হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।
- নিরপেক্ষ দেশ: এই ধারনা অনুসারে দেশ হল স্পষ্ট, প্রাকৃতিক ও বাস্তব এক বিষয়, অথবা এক অস্তিত্বশীল বস্ত যাকে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানা যায়। নিরপেক্ষ দেশ যেন এক আধার যার মধ্যে পার্থিব সব বিষয় (শহর-গ্ৰাম,রাস্তা-বাড়ি,কারখানা-চাষের খেত,নদী ও জঙ্গল প্রভৃতি) রয়েছে । এই দেশকে ভৌগোলিক ভাবে অনেক গুলো খন্ডে ভাগ করে প্রত্যেকটিকে বলেন এলাকা(Area)। হার্ভে (1973)একে বলেন 'A Thing in Itself' ; নিরপেক্ষ দেশ হল এটি নিজেই একটি বস্তু।
- আপেক্ষিক(Relative) দেশ: অপর এক দল ভৌগোলিক মনে করেন দেশ হল শুধুমাত্র বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক, অর্থাৎ দেশ একান্তভাবে কাল ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত।
إرسال تعليق