ভূগোলের পরিধি (The Scope of Geography)

 ভূগোলের পরিধি যে ঠিক কিভাবে চিহ্নিত  করা সম্ভব তা নিয়ে ভৌগোলিকদের  মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। হিপোক্রেটাসের যুগ থেকে মহান পন্ডিতদের অধিকাংশ  ভূগোলের বিষয়বস্তুর পরিধি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন 'মানুষ ও পরিবেশের বহু বিচিত্র  উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক'। বিষয়বস্তর দুটি প্রধান অংশ: প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানবগোষ্ঠী । প্রাকৃতিক পরিবেশ  ও মানবগোষ্ঠীর  এই পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সমীক্ষা করে ভূগোল(Geography is the study of the interaction between  natural environment and human communities)

  • Roger Minishull, 1970 মতে ভূগোল সমীক্ষার উদ্দেশ্য হল প্রাকৃতিক ও মানবিক উপাদানসমূহের ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়ার যোগফল হিসাবে গড়ে ওঠা দৃশ্যমান ভূচিত্রকে জানা।
  • পরস্পর সম্পর্কিত অসংখ্য  বিষয়ের ফলে ভূপৃষ্ঠের এক অঞ্চলের থেকে অন্য  অঞ্চলের পার্থক্য দেখা যায়। ফলে ভূগোলের ব্যবহিত তথ্যের বৈচিত্র্যের কোনো শেষ নেই।
  • মানুষের দৈশিক অভিজ্ঞতাকে বোঝায়  ভৌগোলিকের উদ্দেশ্য ।ভৌগোলিকদের উদ্দেশ্যের বিভিন্নতা এভাবে তালিকাবদ্ধ  করা যেতে পারে:
  1. বিভিন্ন  অঞ্চলের বর্ণনা; 
  2. মানুষের উপরে প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাবকে বোঝা;
  3. সামাজিক ও  অর্থনৈতিক পরিকল্পনা; 
  4. বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় কিভাবে হয় তা বোঝা;
  5. দৈশিক বন্টনকে বোঝা;
  6. দৈশিক আচরণ সংক্রান্ত সূত্র গঠন; এবং
দৈশিক গঠন ও সংগঠন ব্যাখ্যাকারী মডেল নির্মাণ ।

সুতরাং ভূগোলের পরিধি একাধারে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং  সামাজিক  বিজ্ঞানের মধ্যে বিস্তৃত ।

0 Comments

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post